ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ , ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণে চীন থেকে বোয়িং জেট ফেরত

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২০-০৪-২০২৫ ০৫:২৮:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২০-০৪-২০২৫ ০৫:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন
​ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণে চীন থেকে বোয়িং জেট ফেরত ​ছবি: সংগৃহীত
চীনের জন্য নির্মিত একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান শেষ পর্যন্ত নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রেই ফিরে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের বলি হয়েছে বিমানটি।  

রোববার (২০) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিমানটি মূলত চীনের শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের জন্য তৈরি হয়েছিল। রোববার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় ০১১১) এটি সিয়াটলের বোয়িং ফিল্ডে অবতরণ করে বলে রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন। বিমানটিতে শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের লিভারি বা বাহ্যিক রং-চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।  প্রায় ৮,০০০ কিলোমিটার বা ৫,০০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা এই বিমানটি মাঝপথে গাম ও হাওয়াইয়ে জ্বালানি নেয়। এটি ছিল বোয়িংয়ের ঝাউশান কমপ্লিশন সেন্টারে অপেক্ষমাণ বেশ কয়েকটি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের একটি, যেগুলো চীনা এয়ারলাইন্সের কাছে হস্তান্তরের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতির অপেক্ষায় ছিল।

এই মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর ভিত্তিমূল্য শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেছে।  পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। বিশ্লেষক সংস্থা আইবিএর মতে, একটি নতুন ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার—যা এই শুল্কের কারণে চীনা এয়ারলাইন্সের জন্য বিশাল আর্থিক চাপ হয়ে দাঁড়াবে।  বিমানটি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত কে বা কোন পক্ষ নিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বোয়িং এবং শিয়ামেন এয়ারলাইন্স কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বোয়িংয়ের সর্বাধিক বিক্রিত মডেল ৭৩৭ ম্যাক্সের এই ফিরে আসা আন্তর্জাতিক বিমান খাতের দীর্ঘদিনের শুল্কমুক্ত সুবিধার ভাঙনের আরেকটি নজির। প্রায় পাঁচ বছর পর চীনে ৭৩৭ ম্যাক্স আমদানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে বোয়িং নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু বাণিজ্য উত্তেজনার নতুন ঢেউ সেই পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় নতুন বাধা হয়ে দাঁড়াল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হঠাৎ শুল্ক পরিবর্তনের কারণে বহু বিমানের ডেলিভারি অনিশ্চয়তায় পড়বে। অনেক এয়ারলাইন্স প্রধানই জানিয়েছেন, শুল্ক দিতে না চাইলে তারা নতুন বিমান গ্রহণ স্থগিত রাখতে পারেন।  এই পরিস্থিতিতে বোয়িং ও চীনা এয়ারলাইন্সগুলোর সম্পর্ক, ব্যবসায়িক আস্থা এবং বৈশ্বিক এভিয়েশন বাজার—সবই এক অস্থির ভবিষ্যতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।


বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ